৪০ হাজার ইয়াবা নিয়ে সহযোগীসহ ধরা কক্সবাজারের শীর্ষ কারবারি ও আ‘লীগ নেতা দিদার!

ডেস্ক রিপোর্ট :

কুমিল্লা র‍্যাব-১১, সিপিসি-২ এর বিশেষ অভিযানে ৪০ হাজার পিচ ইয়াবা সহ ২ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে।

শনিবার (২০ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে মাদক বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে র্যা ব-১১, সিপিসি-২ কুমিল্লা’র একটি চৌকস আভিযানিক দল নিজস্ব গোয়েন্দা কার্যক্রম ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১। মোঃ ইমামুল হক শুক্কুর (৪৮), পিতা-মৃত. ওসমান গনি, মাতা-রেনু বেগম, সাং-৬৮ নং জনতা হাউজিং, শাহ আলীবাগ, থানা-মিরপুর, জেলা-ডিএমপি ঢাকা, ২। দিদারুল আলম (৫০), পিতা-মৃত. দানু মিয়া, মাতা-মৃত. সবুরা খাতুন, সাং-পূর্ব মুক্তার পোল, ০৬ নং ওয়ার্ড, থানা-কক্সবাজার সদর, জেলা-কক্সবাজার’কে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ থানাধীন পদুয়া বাজার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক উপর হতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন এ সময় তাদের কাছ থেকে ৪০ হাজার পিচ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানান, তারা উভয়েই একটি সংঘবদ্ধ মাদক চোরাচালান চক্রের সক্রিয় সদস্য এবং তারা সাধারণ পেশার আড়ালে এসকল মাদকদ্রব্যের পরিবহন ও ক্রয়-বিক্রয় পরিচালনা করে আসছিলেন।

জানা গেছে দিদারুল আলম এর আগেও ২ বার বিপুল ইয়াবা নিয়ে পুলিশের হাতে আটক হয়েছিলেন। সে একজন প্রকৃত মাদক ব্যবসায়ি। সে গত বছর ঝিলংজা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন। এর আগের কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া দিদার ঝিলংজা ইউনিয়নর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার জন্য জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ের অনেক নেতাকে নানাভাবে তার পক্ষে নিয়েছিলেন বলে জনশ্রুতি আছে। তার কারণেই এখনো ঝিলংজা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কমিটি হয়নি। এছাড়া দিদারের দুই স্ত্রীর মধ্যে দুজনেই বড় ইয়াবা ব্যবসায়ী বলে জানান এলাকাবাসী।

কুমিল্লা-র্যা ব-১১,সিপিসি-২ এর কোম্পানী অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লীডার একে এম মনিরুল আলম বলেন-র্যা ব-১১ সর্বদা মাদকের বিরুদ্ধে বিশেষ ভূমিকা রেখে আসছে। মাদককারবারী যেই হোক না কেন তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।